আমাদের বাংলা সেজে উঠেছে দুর্গাপূজার আনন্দে। মেতে উঠেছে সবাই, শহর সেজেছে, চারিদিক ঝলমলে আলো। অবশ্য আমাদের বাংলার পাশাপাশি অন্যান্য প্রদেশ ও বাদ নেই। সেখান এই দুর্গাপূজাকে নবরাত্রি হিসেবে পালন করা হয়।
আজকে কথা বলব এক অলৌকিক দুর্গা মন্দির সম্পর্কে। আমাদের দেশে অলৌকিক স্থান, মন্দিরের অভাব নেই। আজকে ঠিক এমনই এক অলৌকিক দূর্গা মন্দিরের কথা বলব যা মধ্যপ্রদেশের দেবাস অঞ্চলে অবস্থিত।
এই মন্দির কে নিয়ে নানা অলৌকিক কাহিনী শোনা যায় স্থানীয়দের থেকে। তা বলেন সন্ধ্যার পর এই দুর্গা মন্দিরে প্রবেশ করা যায় না তারা ভয়েই প্রবেশ করতে পারে না। সামনে থেকে প্রণাম করে ঘুরে চলে যায়। তাদের কথা মত এই মন্দির থেকে সন্ধ্যা হলেই শোনা যায় সিংহের গর্জন। তার পাশাপাশি শোনা যায় নুপুরের ধ্বনি। এই অভিজ্ঞতার মুখোমুখিও হয়েছেন তারপর থেকেই তারা এই ঘটনা বিশ্বাস করে।
এই মন্দিরের এক ইতিহাস রয়েছে যা শুনলে হয়তো আপনার এই ঘটনাটা বিশ্বাস হতেও পারে। এই মন্দিরে এক সময়ে ঘটা করে দুর্গোৎসব হতো এই পূজার সঙ্গে স্বয়ং সেই এলাকার রাজা জড়িত ছিল। কিন্তু একসময় এই রাজার মেয়ে অর্থাৎ রাজকন্যা সেনাপতির সঙ্গে প্রেমেরত ছিল। আর তা জানতে পেরে রাজা তার মেয়েকে কারাগারে বন্দী করেন।
আর অপরদিকে সেনাপতিকে চরম অপমান করে তাড়িয়ে দেয়। তারপর ওই কারাগারে রাজকন্যার মৃত্যু হয়। পরে রাজকন্যার মৃত্যুর খবর পেয়ে সেনাপতি আত্মহত্যা করেন। আর আত্মহত্যা হয়েছিল সেই মন্দিরেই আর ওই ঘটনা থেকেই আজও সকলে মনে করেন এই মন্দির অভিশপ্ত। এইমন্দিরের মূর্তি অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু মন্দির ভাঙার চেষ্টায় তারা ব্যর্থ হয়েছিল।
তাই নবরাত্রি হোক বা দুর্গোৎসব সন্ধ্যার পরে স্থানীয় কেউই এই মন্দিরে পা রাখেন না তারা সামনে থেকে প্রণাম করে ঘুরে চলে যায়।