দীর্ঘ অপেক্ষার আংশিক অবসান! সম্প্রতি উন্মোচন করা হলো কালীঘাট মন্দিরের সোনার চূড়া। ২৪ ক্যারেট সোনা দিয়ে তৈরি হয়েছে তিনটে চূড়া। যেখানে আলো পড়তেই ঝলমলিয়ে উঠলো চারিদিক। আমরা সকলেই জানি যে ২০১৯ সালে কালীঘাট মন্দির সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কলকাতা পৌরসভাকে।
তবে ২০২৩ সালে এই পরিকল্পনায় কিছুটা পরিবর্তন ঘটে। নির্ধারিত হয় মন্দিরের ভিতরে সংস্কার করবে রিলায়েন্স সংস্থা এবং বাইরের অংশ সংস্কারের দায়িত্বে থাকবে কলকাতা পৌরসভা। জানা গিয়েছে, মন্দিরে ভেতর সজ্জার জন্য ৩৫ কোটি টাকা খরচ করেছে রিলায়েন্স সংস্থা। সেখান থেকেই নির্মাণ করা হয়েছে মন্দিরের স্বর্ণচূড়া।
যেহেতু আসামের কামাখ্যা মন্দিরের পরেই স্থান কালীঘাটের তাই এই মন্দিরের গুরুত্ব অনেক। এর আগে ৫১ সতীপীঠের মধ্যে কামাখ্যা মন্দিরের চূড়াও সোনা দিয়ে বাঁধানো হয়েছে। তার ঠিক পরেই এবার কলকাতার কালীঘাটে সেই একই দৃশ্য ধরা পড়লো। যদিও নিঃশব্দে উন্মুক্ত করা হয়েছে স্বর্ণচূড়া, তবে এই সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠান করা হবে।
এই বিষয়ে কাউন্সিলর প্রবীর কুমার মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন যেহেতু নির্বাচনের ঘোষণা হয়ে গিয়েছে তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করতে আসতে পারবেন না। যদিও প্রতি বছরে তিনি পয়লা বৈশাখের আগে কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। আপাতত জানা যাচ্ছে স্বর্ণচূড়া উন্মোচনকে কেন্দ্র করে ছোট্ট অনুষ্ঠান করা হবে।
অন্যদিকে যদি আমরা কালীঘাট মন্দিরেএ বিশেষত্ব দেখি তাহলে সেখানে গ্রামবাংলার স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন ধরা পড়ে। যেখানে গ্রামের মাটির বাড়ি এবং কুঁড়েঘরের সংমিশ্রণ দেখা যায় কালীমন্দিরের ছাদে। ‘চালাঘর’ স্থাপত্যে কালীঘাট মন্দির তৈরি হওয়ায় এর নাম ‘চালা টেম্পল’। জানা গিয়েছে, মন্দিরের মাথায় তিনটি চূড়ায় ব্যবহার করা হয়েছে ৫০ কেজি সোনা।