তাদের বিয়ে নিয়ে চর্চার শেষ নেই। সম্প্রতি মার্চ মাসে গাঁটছড়া বেঁধেছেন গানের জগতের দুই শিল্পী অনুপম রায় ও প্রশ্মিতা পাল। অনুপমের সঙ্গে বিয়ের পর লাইমলাইটে এসে গিয়েছেন গায়িকা প্রশ্মিতা নিজেও। সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে নিজের মনের কথা খুলে বললেন প্রশ্মিতা। তবে তিনি একজন গায়িকা হওয়ার পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত। তাকে জিগ্যেস করা হয় তিনি গানের জগত ও চাকরি একসঙ্গে কী করে সামলাচ্ছেন।
এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়৷ কারণ গানবাজনার সঙ্গে চাকরিকে তিনি গুলিয়ে ফেলেননি। বিয়ের পর কেমন লাগছে? সলজ্জ হেসে বলেন, দুই তিন সপ্তাহ হল তারা বিয়ের পর একসঙ্গে রয়েছেন। তবে অনুপমকে তিনি গানের জগতের মানুষ হিসেবে অনেককাল আগে থেকেই চেনেন। তাই তার নতুন জীবন বেশ ভালোই লাগছে।
তার বাড়িতে গানের চল আছে কিনা জিগ্যেস করায় তিনি জানান, তার বাবা আইআইটির ইঞ্জিনিয়ার। মা এমএসসি। কিন্তু তারা ছোটো থেকেই প্রশ্মিতাকে গানের জন্য উৎসাহ দিতেন। তবে প্রশ্মিতার ঠাকুমার ইচ্ছে ছিল তিনি গানবাজনা করুন। তাই গানবাজনার সব খোঁজখবর ঠাকুমা নিতে।
এই কথা বলতে গিয়ে প্রশ্মিতা স্মৃতি হাতড়ে বলেন, তার মামাবাড়ি গুয়াহাটিতে। দাদুর কাঠ চেরাইয়ের মিল থেকে দিদার জন্য হাতির দাঁতের একটি তানপুরা তৈরি করে দেন দাদু। সেই তানপুরাতে দিদা গান শেখেন এবং পরে মা মাসিরা গান শিখেছেন এবং বর্তমানে তিনি ও তার বোন গান শেখেন। ভবিষ্যতে গানকে কি পুরোপুরি পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে? এই প্রশ্নে প্রশ্মিতা বলেন, তার কোডিং ও গান দুটিই প্রিয়।
অনুপমের সঙ্গে প্রথম গান কোনটি? এই প্রশ্নের উত্তরে জানান, “হাইওয়ে’ ছবির ‘তোমায় নিয়েই গল্প হোক।” তবে তার প্রথম গানের হাতেখড়ি সুরকার অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়ের গান ‘বোঝে না সে বোঝে না’ থেকে। এরপর পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর একটি ছবিতে ‘সজনা’ গেয়েছেন তিনি। একবছর সম্পর্কের পর বিয়ে করেছেন প্রশ্মিতা ও অনুপম। তারকা হিসেবে ব্যক্তিগত জীবনকে আড়ালে রাখা কতটা কঠিন?
প্রশ্মিতা জানান, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে অনুপম। কারণ প্রশ্মিতা এখনও সাধারণভাবেই থাকতে ভালোবাসেন। তিনি লাইমলাইটে আসতে পছন্দ করেন না। তবে প্রশ্মিতা চান তাকে মানুষ তার কাজের মধ্যে দিয়ে চিনুক। সে কার সঙ্গে রয়েছেন সেই হিসেবে তার পরিচয় না হোক। বিয়ের পর একসঙ্গে বেড়াতে গিয়েছেন কিনা প্রশ্ন করায় তিনি জবাব দেন, অনুপম তার শো নিয়ে এবং প্রশ্মিতা তার অফিস নিয়ে বেশ ব্যস্ত। সময় পেলে নিশ্চয়ই যাবেন।