২০২৪ এর নোবেল শান্তি পুরস্কার পেল জাপানী সংস্থা নিহন হিডানকিও। শুক্রবার নোবেল কমিটি ২০২৪ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। ২০২৩ সালে এই নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিল ইরানের কারাবন্দী মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদি।
এই সংগঠনটি হয়েছিল হিরোশিমা ও নাগাসাকি বিস্ফোরণে বেঁচে যাওয়া মানুষদেরকে নিয়ে। হিবাকুশা নামেও পরিচিত। নোবেল কমিটি জানিয়েছে মূলত দুটি কারণের জন্য জাপানি সংস্থাকে ২০২৪ এর নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।
প্রথম কারণ পারমাণবিক অস্ত্র মুক্ত দেশ গড়ে তোলার জন্য এবং দ্বিতীয়তঃ পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার না করার জন্য। এই অস্ত্র ব্যবহার করা উচিত না এর ফলে আগামী কয়েক প্রজন্মের অনেক ক্ষতি হয়ে যায়।প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যের মাধ্যমে এটি দেখানোর জন্য মূলত সংস্থাটি নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত।
নোবেল কমিটি জানিয়েছেন নিহন হিডানকিওকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার মাধ্যমে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি হিরোসীমা এবং নাগাসাকি বিস্ফোরণে বেঁচে যাওয়া মানুষদের সম্মান জানাতে চান। শারীরিক এত যন্ত্রণা কষ্ট তা সত্ত্বেও তারা তাদের ব্যয়বহুল অভিজ্ঞতাকে আশা ও শান্তির জন্য বেছে নিয়েছেন । একদিন এমন হবে এই বিস্ফোরণে বেঁচে যাওয়া মানুষ ইতিহাস হয়ে আমাদের মধ্যে থাকবেনা।
তবে জাপানের এই মানুষগুলো অন্যদেরকে শিক্ষিত করে দিয়ে যাচ্ছে অনুপ্রাণিত করে যাচ্ছে তাদেরকে শান্তির বার্তা দিয়ে যাচ্ছে এই হিরোশিমা নাগাসাকির মতো যেনো আর না হয় তাই বলে যাচ্ছে ভবিষ্যত প্রজন্ম কে।
BREAKING NEWS
The Norwegian Nobel Committee has decided to award the 2024 #NobelPeacePrize to the Japanese organisation Nihon Hidankyo. This grassroots movement of atomic bomb survivors from Hiroshima and Nagasaki, also known as Hibakusha, is receiving the peace prize for its… pic.twitter.com/YVXwnwVBQO— The Nobel Prize (@NobelPrize) October 11, 2024
নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি একটি সত্য স্বীকার করেছেন। গত ৮০ বছরে তারা কোন পারমাণবিক অস্ত্র যুদ্ধের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেননি।নিহন হিডানকিও এবং হিবাকুশার অন্যান্য প্রতিনিধিদের অসাধারণ প্রচেষ্টা পারমাণবিক নিষেধাজ্ঞায় ব্যাপক অবদান রয়েছে। তাই আজকে পারমাণবিক অস্ত্র ছাড়া এই যুদ্ধ চাপের মধ্যে রয়েছে। তাদের অস্ত্রাগার আপগ্রেড করছে । পারমাণবিক অস্ত্র কতটা ক্ষতি করতে পারে তা সমস্ত বিশ্বকে বোঝানো দরকার।